ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন বলেন, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসল ও মাছের ক্ষতি হয়েছে, তাতে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। হাওড় অঞ্চলের জনগণ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। হাওড়ের পানিতে তেজষ্ক্রিয় বিষের উপস্থিতির ব্যাপারে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারপরেও সরকার তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। শুধুমাত্র পানি পরীক্ষা, মাছ পরীক্ষা এবং বাঁধ ভাঙল কেন এই নিয়ে নামে মাত্র কমিটি করা হয়েছে; যা দুর্গত মানুষের সাথে উপহাসের শামিল।
সোমবার (২৪ এপ্রিল’১৭) পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জি.এম. রুহুল আমীন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম-এর পরিচালনায় “হাওড়বাসীদের প্রতি আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, মানুষ যেখানে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে সেখানে ত্রাণ সচিব বলেন দুর্গত ঘোষণা করতে হলে সেখানকার ৫০ শতাংশ মানুষকে মারা যেতে হবে। তার এই ধরণের বক্তব্য কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে জাতি আসা করে না। মানুষ এখন খুব অসহায় তাই অতিদ্রুত তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে এবং বাঁধ নির্মাণে যারা দুর্নীতি করেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সাথে সাথে দুর্গত মানুষের এই বিপদের সময় দেশের বিত্তশালীরাসহ সকলকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান বক্তারা।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা নিন্মোক্ত দাবিগুলো জানিয়েছেন-
১. হাওড় অঞ্চলকে দ্রুত ‘দুর্গত এলাকা’ ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জরুরী পুনর্বাসন করতে হবে।
২. দুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার ফি মওকুফসহ শিক্ষার সকল ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে।
৩. হাওড় এলাকার সমস্যার স্থায়ী সমাধাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৪. বাঁধ নির্মাণে যারা দুর্নীতি করেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানসহ সকলকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. হাছিবুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. এমদাদুল্লাহ ফাহাদ প্রমুখ।
স্যোসাল লিংকসমূহ