যিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ বিরোধী চরমপত্র
উপস্থাপনায় : নূরুল করিম আকরাম, সেক্রেটারি জেনারেল, ইশা ছাত্র আন্দোলন
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়ে ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখন্ড। প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসকদের গোলামীর জিঞ্জির থেকে ১৯৪৭ এর দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে মুক্ত হয়েছি ব্রিটিশদের কবল থেকে।
স্বাধীন বাংলাদেশের এগিয়ে চলার আজ অর্ধশত বছর উদযাপন হতে যাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন উদ্যোগে স্বাধীনতার অর্ধশত বছর উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু এই পঞ্চাশ বছরে আমরা কি পেয়েছি আর কোন পথে হাটছি?
করোনাভাইরাসের পাশাপাশি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণও যেন বাংলাদশেে মহামারী হয়ে দাড়িয়েছে। এমন কোনো দিন নেই যেদিন সংবাদপত্রে ৪-৫টি ধর্ষণের ঘটনার খবর প্রকাশতি হচ্ছে না। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, গত আগস্ট মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়ছেনে ২৪৯ জন নারী ও শিশু। এরমধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ছেনে ৩২ জন। বেশিরভাগ ধর্ষণের ঘটনাই সংবাদপত্রে আসে না। সামাজিক মর্যাদাহানীসহ বিভিন্ন কারণে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। আর সংবাদপত্রে যেসব ঘটনা প্রকাশতি হয় তার বড়জোর মামলা হয়। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি হয় খুবই কম। আর বিচার, সাজা? এমন রেকর্ড আজ দূর্লভ!
ধর্ষণ একটি ঘৃণ্য অপরাধ। এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। অথচ আমাদরে দেশে এই ঘৃণ্য অপরাধটাই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নেই, প্রতিরোধ নেই, নেই আইন কার্যকর করার ব্যবস্থা। ক্ষমতার দাপট, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং বিচার প্রক্রিয়া নারীবান্ধব করতে না পারা, সামাজিক-রাজনৈতিক উদাসীনতার সুযোগে ধর্ষকরা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তারা সবাই ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর আগে খাগড়াছড়িতে ডাকাতি করতে ঘরে ঢুকে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, নারীরা স্বামীর সঙ্গে থাকলেও নিরাপদ নয়, এমনকি ঘরে থাকলেও নয়। নারী আজ ছাত্রলীগ, অচনা দুর্বৃত্ত, এমনকি পুলিশের কারণেও নিরাপত্তাহীন!
সবচেয়ে উদ্বগের বিষয় হচ্ছে, এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে, অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে, সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে যাদের রুখে দাঁড়ানোর কথা, প্রতিবাদ করার কথা, ক্ষমতাসীন দলের সেই নেতাকর্মীরাই এই ধর্ষণের মচ্ছবে তাল মেলাচ্ছে । নিজেরাই ধর্ষক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণ বা দলগত ধর্ষণের ঘটনা গত তিন দশক ধরেই ঘটছে । যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে বারংবার। তারা এতটাই বেপোরোয়া থাকে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এমনটি তারা মনে করে না। তাইতো তারা স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের দুঃসাহস দেখায়। ১৯৯৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে দলগত ধর্ষণ করে ছাত্রদল নেতা সীমান্ত, মিতুল ও জাপানসহ কয়েকজন। এই ঘটনায়ও সীমান্তের কোনো বিচার হয় নি।
১৯৯৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিকের ধর্ষণের সেঞ্চুরির কোন বিচার হয়নি এখনো।
এরপর ২০০০ সালে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাঁধন নামে এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয়। তখনও ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এই নৃশংসতারও কোন বিচার হয় নি।
স্বাধীনতার পর থেকে নারীর প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন, সহিংসতা ও যৌন সন্ত্রাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে গত এক যুগে। গত এক যুগের আওয়ামী দুঃশাসনে নারী ছিল সবচেয়ে অনিরাপদ, সংকটাপন্ন ও বিপর্যস্ত।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারীর ক্ষমতায়নের মুখরোচক ইশতেহারের নামে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের দলীয় সন্ত্রাস। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন সন্ত্রাসের বিপরীতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিলে মিশে একাকার।
কিছু পত্রিকার শিরোনাম যদি উল্লেখ করা হয়, “টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার, স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষনের মামলায় অভিযুক্ত রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, নেত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার, নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষনের চেষ্টায় ছাত্রলীগ নেতার, ধর্ষকদের তাড়িয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা।”
যারা ক্ষমতায় আছে সে এক ধরনের বিচারহীনতার সুবিধা ভোগ করে। সেই সুবিধা তাকে নানা অপর্কমে প্ররোচতি করে৷ এর মধ্যে ধর্ষণ একটি৷ এর জন্য বর্তমান অবক্ষয়গ্রস্ত দলীয় রাজনীতি সবচেয়ে বেশি দায়ী। ক্ষমতার সুবিধা নিতে দলে দূর্বৃত্ত-অপরাধীরা নেতৃত্বের আসন পর্যন্ত বাগিয়ে নেয়। যখনই কারো অপরাধের খবর ফাঁস হয়ে হয়ে যায়, তখন বলা হয় সে আসলে আমরে দলের কেউ নয় অথবা অনুপ্রবশেকারী। এটা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব।
ক্ষমতায় থাকা একটা দলের কেউ যখন খুন-ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করে, তারপরও দল লজ্জিত হয় না। কোনো অনুতাপও দেখা যায় না। দলে যেন এ ধরনের দূর্বৃত্তরা স্থান না পায়, সে ব্যাপারে সর্তকতা ও কঠোর অঙ্গীকারও দেখা যায় না।
আসলে আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাটাই পঁচে গেছে। যে রাজনীতি মানুষকে স্বপ্ন দেখাবে, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, মানুষের পাশে থাকবে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন দূর্বৃত্ত হয়ে উঠছে, খুন-ধর্ষণ-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ করছে। আসলে পুরো রাজনীতিই বর্তমানে দূর্বৃত্ত কবলিত হয়ে পড়েছে। অপরাধীদের প্ল্যাটফরম হয়ে উঠেছে রাজনতৈকি দল ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। যে কারণে মাদক ব্যবসা, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অর্থপাচার, খুন, রাহাজানির অভিযোগে তারা গ্রেফতার হন, ধর্ষণের ঘটনায় আসামি হন। আজ আর্দশিক চর্চা নেই বলেই ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দূর্বৃত্তরা একের পর এক ধর্ষণ ঘটাচ্ছে।
আর আমাদরে জাতীয় নেতারা পরম যত্নে এই দূর্বৃত্ত উৎপাদনের কারখানাটাকে চালু রেখেছেন। নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য যেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার কথা, সেখানে তারা এই কাজটি না করে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন, তাদের অপরাধ মুছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান, তার কল্যাণ-কামনা করা, সৎকাজে সাহায্য করা, বিশেষত তাকে কোনো ধরনের কষ্ট না দেওয়া সকলরে ক্ষেত্রে কাম্য। নারীর ক্ষেত্রে তা বিশেষভাবে কাম্য। নারী মানবজীবনের এক গুরুত্বর্পূণ অনুষঙ্গ; বরং এছাড়া মানবজীবন অর্পূণ। একই সাথে সে র্দুবল ও সংবদেনশীলও বটে। কাজইে তার সম্ভ্রমহানি করা, ইজ্জত-সম্মান লুণ্ঠন করা কত বড় অবিচার?
সায়্যদিুল মুরসালীন, রাহমাতুল্লিল আলামীনের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে তো শুধু সৎকাজেরই অনুমতি চাওয়া যায়। অসৎকাজের অনুমতি চাওয়ার কল্পনাও করা সম্ভব নয়। কিন্তু এক যুবক তাই করল। সরাসরি নবীজীর কাছে এসে ব্যভিচারের মত জঘন্য অপরাধের অনুমতি চেয়ে বসল। দেখুন, নবীজী তাকে কীভাবে সংশোধন করলেন। তার অন্তর থেকে কীভাবে ও ব্যভিচারের মূলোৎপাটন করলেন।
যুবক এসে বলল, আমাকে যিনার অনুমতি দিন। অন্যরা ধমকাতে লাগল- এই তুমি কার সামনে কী বলছ? চুপ কর!
নবীজী ধমক দিলেন না। কাছে ডেকে নিলেন। বললেন-
-তোমার মায়রে সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহর কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার মায়ের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তোমার মেয়ের সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহর কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার মেয়ের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তোমার বোনের সাথে কারো ব্যভিচার করা কি তুমি পছন্দ কর?
-আল্লাহর কসম, আপনার উপর আমার জান কোরবান হোক! কক্ষনো আমি এটা পছন্দ করব না, এটা হতে দিব না।
-কোনো মানুষই তার বোনের সাথে কারো ব্যভিচার করাকে পছন্দ করবে না।
তো ইসলাম নারীর ব্যাপারে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসকিতার সংশোধন করে, নারীকে সম্মান ও সহানুভূতির স্থানে অধিষ্ঠিত করে। পুরুষের মনে আল্লাহর ভয় ও আখেরাতের জবাবদহিরি কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। নারীর প্রতি যে কোনো ধরনের অন্যায় আচরণরে ক্ষতি ও ভয়াবহতা তুলে ধরে পুরুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখে। পুরুষের অন্তরে একথা বদ্ধমূল করে নারীর সাথে আচরণ হতে হবে তার সম্মান ও মর্যাদা বিবেচনায় রেখেই। তার প্রতি মানসকিতা থাকবে সম্মান ও সহানুভূতির। আর এর অনুকূল সকল ব্যবস্থা-ই ইসলাম গ্রহণ করছে।
পক্ষান্তরে পশ্চিমা সভ্যতায় নারীর পরচিয় হচ্ছে, সে একটি ভোগ্যপণ্য। টিভি বিজ্ঞাপন, পত্রিকা বিজ্ঞাপন, অনলাইন বিজ্ঞাপন- সবকছিুতে নারীকে পণ্যায়িত করা হচ্ছে। নারী ছাড়া যেন বিজ্ঞাপন হয় না। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছতর জিনিসে নারী শোভা পাচ্ছে।
মোবাইল কোম্পানির সিম বিক্রি থেকে শুরু করে জুস, আচার, কোল্ড ড্রিঙ্কস, পেস্ট, সাবান, চেয়ার, টেবিল, গাড়ি সব বিজ্ঞাপনে নারীকে উপস্থাপন করা হয়। পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য সুন্দরী মডেলের ছবি প্রচারিত হয়। নৌকায় দেওয়ার জন্য আলকাতরা কিনলেও তাতে একটি নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে।
শিল্পের নামে নারীকে পরিণত করা হচ্ছে র্যাম্পের আইটেম গার্লএ । রাত-দিন চলছে নারীর উন্মুক্ত প্রর্দশনী। উদ্দশ্যে হচ্ছে নারীর দেহকে প্রর্দশন করে পণ্যটির দিকে দর্শকদের মনোযোগ আর্কষণ করা।
আর এ অসম্মানের পথকেই তারা নারীর সামনে উপস্থাপন করছে নারীমুক্তি, নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার, নারী উন্নয়ন, সাবলম্বিতা নামে! এসব সস্তা শ্লোগানের ট্র্যাপে পড়ে কর্পোরেট হাউজের শো-পিস হওয়া মাজলুম নারীদের খবর কি কেউ নিয়েছে কখনো?
দুঃখজনক হল নারী এটাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছে এবং একে সম্মানের প্রতীক মনে করছে।
ধর্ষণ-প্রবণতার জন্য কি এই দৃষ্টিভঙ্গির কোনো দায় নেই? নারীর বাণিজ্যিকীকরণ, বিজ্ঞাপন ও ইভেন্টে নারীকে ক্রমাগত দেহ সর্বস্ব যৌন লালসার ভোগ্য-পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা কি পুরুষকে ধর্ষণের প্রতি প্ররোচিত করে না?
পুরুষের মানসকি বিকৃতির একটা বড় কারণ হচ্ছে নারীকে ভোগ্য-পণ্য হিসেবে দেখার সংস্কৃতি এবং এটা একটা ধর্ষণ মনস্তত্ত্ব তৈরিকারী।
নারী নির্যাতন, যিনা-ব্যভিচার রোধে ১৮৬০ সালে যে আইনটি আজ থেকে প্রায় ১৬০ বছর আগে তৎকালীন পারিপার্শ্বিকতায় হয়ত এই ধারা উপযুক্ত ছিলো তাই বৃটিশ সরকার এই ধারা আনয়ন করেছে।সুতরাং এই ধারা এখন আমাদের সভ্য সমাজে অচল বিধায় এই ধারায় আশু সংশোধনী এনে তা যুযোপযোগী করতে শরীয়াহ বোর্ডের মাধ্যমে নতুন ভাবে প্রণয়ন করতে হবে।
বৃটিশদের সমাজ, সংস্কৃতি আর আমাদের লাইফ স্টাইল সর্ম্পূণ আলাদা বিধায় আমরা আর এই ধারা নিয়ে পড়ে থাকতে পারি না। তাদের সমাজে আজও বিয়ের পূর্বে সন্তান উৎপাদনের নিয়ম আছে এবং তারা লিভ টুগেদারে আজও অভ্যস্ত বিধায় সেই সময়ে তাদের দ্বারা এমন আইন হওয়া অস্বাভাবকি কিছু নয় বিধায় আমরা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আইন করা বাঞ্চনীয় বলে মনে করি।
সাথে সাথে ক্ষমতাসীন সরকারকে হুশয়িারি দিয়ে বলবো নারী নির্যাতন, যিনা-ব্যভিচার রোধে বর্তমান অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশবাসী মুক্তি চায়। তাই আসুন জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যিনা ব্যভিচার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি।
১৫ অক্টোবর, ২০২০
বৃহস্পতিবার , শাহবাগ ।
স্যোসাল লিংকসমূহ