“হে যুবক! চলো এগিয়ে যাই হাতে হাত রেখে সংগ্রামে সংগ্রামে”
রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব

শেষ পর্ব

বিবেকের কাছে প্রশ্ন! একজন মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার তাদের নেই? হ্যাঁ! এ অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে। তিরমিজি শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রা. থেকে হাদিস বর্ণিত আছে যে, একদিন একদল সাহাবায়ে কেরাম রা. পরস্পরে আলোচনা করতে ছিলেন যে আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি আমরা যদি তা জানতে পারতাম তবে তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালাতাম। বগভী রহ. এ প্রসঙ্গে আরও বলেন যে, সাহাবীদের কেউ কেউ একথাও বললেন যে, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি তা জানতে পারলে আমরা তজ্জন্যে জান ও মালসহ সর্বোচ্চ বিসর্জন দিতাম। (মাজহারী)
ইবনে কাসীর মুসনাদে আহমাদের বরাত দিয়ে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা একত্রিত হয়ে পরস্পরে এই আলোচনা করার পর একজনকে রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য প্রেরণ করতে চাইলেন, কিন্তু কারও সাহস হলো না। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সা. তাদেরকে নাম ধরে ধরে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন। বলা বাহুল্য! হুজুর পাক সা. অহীর মাধ্যমে সাহাবাদের আলোচনা ও আলোচনার বিষয়বস্তু জেনে গিয়েছিলেন। তাঁরা উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ সা. তাদেরকে সূরা সাফ পাঠ করে শুনিয়ে দিলেন। যা তখনই নাযিল হয়েছিল। যেখানে আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি.. আল্লাহ বলেন- আল্লাহ তাদেরকে ভালোভাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেনো তাঁরা সীসা ঢালা প্রাচীর। (সূরা আছ-ছফ-4) সাহাবায় কেরাম রা. গণকে আল্লাহ তায়ালা দীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করাকে সর্বোত্তম আমল বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা শেষ নবীর উম্মত ও সাহাবায়ে কেরামের উত্তরসূরি। তাই আমাদের কর্তব্য আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের জন্য কাধে কাধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে সংগ্রামে সংগ্রামে এগিয়ে চলা। আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ এর পথে নিজেকে সমর্পণ করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার দীনের খাটী মুবাল্লীগ হিসেবে কবুল করুন। আমিন।