Chhtra-Samabesh-Comilla-U-(1) Chhtra-Samabesh-Comilla-U-(2)

সরকারের ছত্রছায়ায় মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি বলেন, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময়ই বলে থাকেন আমি মুসলমান। আমি নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি এবং নাস্তিকদের ব্যাপারে বলেছেন ধর্মের উপর আঘাত করলে আমারও গায়ে লাগে। কাজেই ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করলে ছাড় দেয়া হবে না। কিন্তু শিক্ষা আইন, শিক্ষানীতি এবং পাঠ্যসূচীতে কিভাবে ইসলামকে হেয় করা হয়েছে এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি এসব দেখেন না? নাকি দেখে ও না দেখার ভান করছেন? অবিলম্বে শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।

বুধবার (৪ মে) বিকেলে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্বরোড নূরজাহান হোটেল চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব সেলিম মাহমুদ, কুমিল্লা জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়্যব। ছাত্রনেতা মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এম এম বিলাল হোসাইন, আলহাজ্ব কামরুল হাসান খোকন, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম রহমতপুরী, মাওলানা নুর হোসাইন, এডভোকেট হারুনুর রশিদ, মাওলানা হারুন শরাফতি, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ এরশাদী প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ক্ষমতাসীন ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ বাস্তবায়নে ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতিই একমাত্র বাধা। তাই তারা সিলেবাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদেরকে ঈমান ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদে ধাবিত করতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌনাচার শিক্ষার নামে অবাধ যৌনাচারে উদ্ধুদ্ধ করছে। মুসলমানিত্ব ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ এবং হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে ছাত্র সমাজকে কঠোর আন্দোলনে নেমে আসতে হবে। মুসলমানিত্ব ধ্বংস করতে দিতে পারি না। কাজেই অবিলম্বে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে ঈমানদার জনতা ঈমান রক্ষায় রাজপথে নেমে আসবে।

প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, আমাদেরকে ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকতেও দিচ্ছে না। ঈমানদার জনতা ঈমান রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুললে নাস্তিক্যবাদী শক্তি পালানোর সুযোগ পাবে না।

ছাত্রনেতা জিএম রুহুল আমীন বলেন, সরকারের মদদে এবার নাস্তিক্যবাদীরা পাঠ্যসিলেবাসে হাত দিয়েছে। তারা কৌশলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেঈমান বানাতে চেষ্টা করছে। তাদের চক্রান্ত ছাতসমাজকেই রুখে দিতে হবে।

আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, আমাদের সমাজে যেভাবে খুন, ধর্ষণ ও গুম হচ্ছে তাতে কোন মানুষই এখন আর নিরাপদ নয়। সর্বত্র মজলুম মানুষের আর্তনাদ চলছে। মজলুম মানবতার মুখে হাসি ফুটাতে অপ্রতিরোধ্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে ছাত্রদেরকেই। তিনি ২৭ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানান।