Hijbut-Tawhid-Picture

গত ১৪ মার্চ’১৬, সোমবার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাওহীদ-এর সন্ত্রাসীরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা করে। এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোনাইমুড়ী উপজেলা সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশিদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সোনাইমুড়ী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুহা. মাহমুদুল হাসান সহ আরো অনেকে গুরুতরভাবে আহত হন।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রাণের ধর্ম ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য বাতিলরা উঠে পড়ে লেগেছে। ইসলামকে কলংকিত করতে, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি-দ্বন্দ সৃষ্টির লক্ষ্যে হিযবুত তাওহীদ নামক জঙ্গী সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কার্যক্রমে সরকার অতিষ্ট হয়ে একসময় তাদের নিষিদ্ধ করে। কিন্তু থামেনি তাদের সেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যক্রম। তারা ইসলামের নাম দিয়ে মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে এক আজগুবি বুলি নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মাঠে নেমেছে। নিজেদের মনগড়া মতবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করাই তাদের কাজ। তাদের সেই মনগড়া মতবাদের এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা ইসলামী আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিগত ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কর্মী শহীদ আবদুল মালেক রহ. এই হিযবুত তাওহীদ-এর সন্ত্রাসীদের হাতেই শহীদ হন। তখন সরকার তার বিচার করে দোষীদের শাস্তি না দেয়ার কারণে তারা প্রশ্রয় পেয়ে আজকেও সোনাইমুড়ীতে এভাবে হামলা করার দুঃসাহস পেয়েছে। শহীদ আবদুল মালেক রহ. এর হত্যাকারীরা হিযবুত তাওহীদের সন্ত্রাসীরা আজো মাঠে সক্রিয়।

সোনাইমুড়ীতে ইসলামী আন্দোলন ও ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃদ্বয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের শাস্তি প্রদান করা জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, সরকার ও প্রশাসন যদি হিযবুত তাওহীদের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেন তবে তার ফল শুভ হবে না। ইসলাম প্রিয় দেশবাসী তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেই, ইনশাআল্লাহ।