রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা নেয়ার আহবান পীর সাহেব চরমোনাই’র

লংমার্চ
রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরতা ও অমানবিক হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে আহুত মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে শুরু করার কথা থাকলেও পুলিশী বাঁধার মুখে তা স্থগিত হয়ে যায়।

এর প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতার উপস্থিতিতে বেলা ১২ ঘটিকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের সভাপতি সংগঠনের মুহতারাম আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই সরকারের এই আচরনকে রহস্যজনক অভিহিত করে বলেন, শান্তিপূর্ণ একটি কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করে সরকার কাদের খুশি করতে চায়? আমাদের লংমার্চ কর্মসূচি ছিল মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ ও তাদের মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে।

এমন একটি সর্বজনীন কর্মসূচিতে সরকারের বাধা দেয়ার ঘটনা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতনকারীদের উৎসাহিত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

লংমার্চ

গত ২৮ নভেম্বর ঘোষিত এ লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে সাধারণ মানুষ ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছিল। আজ (১৮ ডিসেম্বর’১৬) সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সকলের জমায়েত হওয়ার কথা থাকলেও ৩দিন পূর্বে পুলিশ প্রেসক্লাবে জমায়েত করতে নিষেধ করে, সে অনুযায়ী জমায়েতের নতুন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল যাত্রাবাড়ি কাজলা এলাকায়।

লংমার্চ

কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল রাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লংমার্চ কর্মসূচি স্থগিত করার কথা বলা হয়। অথচ সারাদেশের লংমার্চগামী মানুষ নৌ ও সড়কপথে পূর্বেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে এসেছে। ভোর হওয়ার পূর্বেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার বাস, মাইক্রোবাস জড়ো হতে থাকে যাত্রাবাড়ি, কাজলাসহ আশপাশের এলাকায়।

লংমার্চ

কিন্তু পুলিশ গাড়ীগুলো সেখানে দাড়াতে না দিয়ে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়। এসময় যুবলীগের কর্মীদেরও পুলিশের সাথে মিশে লংমার্চগামী লোকদের হেনস্তা করে, একটি গাড়িও ভাংচুর করে। পুলিশের এহেন আচরনের প্রতিবাদ করলে পল্টন এলাকা থেকে আনুমানিক ২৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

লংমার্চ

সরকারের বিরূপ আচরনের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক আয়োজিত বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-পুলিশ ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের দ্বারা বর্বরোচিত রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন ও দেশছাড়া করা অব্যাহত রেখেছে।

লংমার্চ

তিনি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী সকল রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ারও দাবী জানান।

লংমার্চ

গণহত্যা ও ধর্ষণের বিচার এবং মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সামরিক অভিযান অথবা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান পীর সাহেব চরমোনাই। এজন্য তিনি বিশ্ব নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা নেয়ার আহবান জানান।

লংমার্চ

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সংগঠনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মমহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকীসহ নেতৃবৃন্দ।

লংমার্চ

লংমার্চ কর্মসূচি অনুযায়ী সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে সমাবেশসহ ৫টি সমাবেশ ও পথসভা ছিল। ঢাকায় লংমার্চে বাঁধার খবর সেসব স্থানে পৌছলে সেখানেও তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

লংমার্চ

প্রতিবাদ সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসুচী ঘোষণা করেন।

লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ
লংমার্চ

অনলাইন নিউজ
dainikamadershomoy.com
mzamin.com
dailynayadiganta.com
ejugantor.com
jugantor.com
ittefaq.com.bd
dailyinqilab.com
dailyinqilab.com
ভিডিওসমূহ


https://youtu.be/AjqtmFWaGps