ভারত মহাসাগরে ডুবোজাহাজ থেকে নয়াদিল্লির পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। দেশ দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে একে অপরকে অবহিত করার নীতি অনুসরণ করে থাকে। কিন্তু গত মাসে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে পাকিস্তানকে অবহিত করেনি ভারত। পাক পররাষ্ট্র দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ভারতের এ আচরণকে তার ভাষায় মারাত্মক বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে উভয় দেশ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে একে অন্যকে তথ্য জানিয়ে থাকে। এ ছাড়া, ভুল বোঝাবুঝি বা ব্যাখ্যা ঠেকানোর জন্য ব্যালিস্টিক পরীক্ষার আগে এ বিষয়ে জানানোর জন্য ২০০৫ সালে দুই দেশও একটি চুক্তি করেছে। দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক যখন খুব খারাপ পর্যায়ে ছিল তখন এ নিয়ম মানা হয়েছে। কিন্তু এবারই ভারত এ থেকে সরে আসল বলে জানান তিনি। কূটনৈতিক চ্যানেলে এ বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করেছে ইসলামাবাদ এবং এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দাবি করেছে। এদিকে, পাকিস্তানের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন, ভারত মহাসাগরকে পরমাণুকরণ করা হলে তাতে এ অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটবে। তিনি আরো দাবি করেন, ভূ-রাজনৈতিক বিষয় থেকে সরে ভূ-অর্থনৈতিক বিষয়ের দিকে ঝুঁকছে পাকিস্তান। চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি’কে তার পরিষ্কার উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরকে তার ভাষায় পরমাণুকরণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকে ভূ-রাজনীতির দিকে ঠেলে দিতে চাইছে ভারত।

সূত্র : আইআরআইবি

ভিডিও