নেতৃত্ব : প্রকারভেদ-ক্ষমতা-গুণাবলী ও গঠন পদ্ধতি

আ হ ম আলাউদ্দীন

মাঝি ছাড়া যেমন নৌকা চলে না তেমনি নেতৃত্ব ছাড়া দেশ, জাতি, সমাজ চলতে পারে না। নেতা যদি যোগ্য হন তাহলে তিনি তার জনগোষ্ঠীকে সফলতার সাথে লক্ষ্যপানে নিয়ে যেতে পারেন। সফলতার সাথে যদি আদর্শের সমš^য় ঘটে তাহলে ঐ নেতৃত্ব হয় মডেল নেতৃত্ব।
Elder L. Tom Perry বলেন-

“We live in a world that is crying for righteous leadership based on trust worthy Principles.”

নেতৃত্বের পরিচয়
শাব্দিক অর্থে নেতৃত্ব হচ্ছে-
১. To conduct (চালিত করা)
২. To guide (পথ দেখানো)
৩. To direct (আদেশ করা)

সাধারণ অর্থে নেতৃত্ব হচ্ছে, একজন ব্যক্তি মানুষের নানান গুণাবলীর সমাবেশের মাধ্যমে একটি দলের বা গোষ্ঠীর কিংবা একটি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমন্বিত পরিচালনা।

Keith Davis বলেন, The Leadership is the process of influencing group activities towards the accomplishment of the goal in a given situation.
* রবার্ট গোলেমবাস্কি বলেন, ‘কাক্ষিত লক্ষ্যে জনগণকে প্রভাবিত করার যোগ্যতাই হচ্ছে নেতৃত্ব’।
* রবার্ট ডাবিনের মতে, ‘নেতৃত্ব হচ্ছে সিদ্ধান্ত প্রণয়নে কর্তৃত্ব অর্জনের অধিকার ও অনুশীলন’।

নেতৃত্বের উপাদান ৪টি। ক. নেতা খ. প্রতিষ্ঠান গ. অনুসারী ও ঘ. পরিবেশ।

নেতৃত্বের প্রকারভেদ
১. আনুষ্ঠানিক বিচারে
ক) আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Formal Leadership) : প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে যে নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় তাকে আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে। যথা- সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক…।
খ) অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব (Informal Leadership) : ব্যপক জনগোষ্ঠী একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এদের মধ্যে যে নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় তাকে অনানুষ্ঠানিক নেতৃত্ব বলে। এরূপ নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা থাকে না। কিন্তু এরা দলভুক্তদের উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তারকারী হন।

২. প্রেষণার ধরণ বিচারে
ক) ইতিবাচক নেতৃত্ব (Positive Leadership) : উৎসাহ ও স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে কাজ আদায় করে নেয়াকে ইতিবাচক নেতৃত্ব বলে।
খ) নেতিবাচক নেতৃত্ব (Negative Leadership) : ভয়-ভীতি প্রদানের মাধ্যমে যে নেতৃত্ব কাজ আদায় করে নেয় তাকে নেতিবাচক নেতৃত্ব বলে।

৩. ক্ষমতা প্রয়োগের ধরণ বিচারে
ক) স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব (Autocratic Leadership) : যে নেতৃত্ব ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে তাকে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে।
খ) পিতৃসুলভ নেতৃত্ব (Paternalistic Leadership) : যে নেতৃত্ব স্নেহ-মমতার মাধ্যমে শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে কাজ আদায়ের চেষ্টা করে তাকে পিতৃসুলভ নেতৃত্ব বলে।
গ) অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব (Participative Leadership) : প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব অধস্তনদের কাছে হস্তান্তর ও অধস্তনদের সাথে পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে নেতৃত্ব প্রদান করাকে অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব বলে। এখানে দু’টি সমস্যা হতে পারে। ১. সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হওয়া  ২. সবাই খুশি না হওয়া।
ঘ) লাগামহীন নেতৃত্ব (Free-rein Leadership) : নেতা অধস্তনদেরকে লক্ষ নির্ধারণ করে দিয়ে অধস্তনদের কাছে দূরে থাকেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্র অর্জনই নেতার সফলতা নির্ভর করে।

৪. সম্পর্কের দিক-বিচারে
ক) ব্যক্তিগত নেতৃত্ব (Personal Leadership) : যে নেতৃত্বে নেতা ও কর্মীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিরাজ করাকে ব্যক্তিগত নেতৃত্ব বলে।
খ) অব্যক্তিগত নেতৃত্ব (Impersonal Leadership) : কতিপয় উপনেতার মাধ্যমে অধস্তনদের পরিচালনা করাকে অব্যক্তিগত নেতৃত্ব বলে।

৫. ইতিহাসের আলোকে নেতৃত্ব
ক) আম্বিয়া আ. এর নেতৃত্ব
খ) অন্যান্য নেতৃত্ব
নেতার ক্ষমতার উৎস
ক) আইনানুগ ক্ষমতা
খ) বাধ্য করার ক্ষমতা
গ) পুরস্কৃতকরণের ক্ষমতা
ঘ) প্রশংসা অর্জনের ক্ষমতা
ঙ) বিশেষজ্ঞজনিত ক্ষমতা
চ) মানবীয় বা আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা
ছ) যোগাযোগ ব্যবস্থা
জ) অধস্তনদের মান ও মনোভাব
ঝ) আনুগত্য ও শৃক্সখলা
ঞ) প্রতিষ্ঠানিক ঐতিহ্য

নেতার ক্ষমতার উৎস
ক) আইনানুগ ক্ষমতা : সাংগঠনিক কাঠামোতে পদমর‌্যাদাগত ক্ষমতাকে বোঝায়। যথা- বিভাগীয় সম্পাদকদের উপর সাধারণ সম্পাদকের ক্ষমতা।
খ) বাধ্য করার ক্ষমতা : অধস্তনদের বাধ্য করা বা শাস্তি প্রদানের ক্ষমতাকে বোঝায়।
গ) পুরস্কৃতকরণের ক্ষমতা : যে নেতৃত্বে অধস্তনরা মনে করে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে পদন্নতি বা পুরস্কৃত হওয়া যাবে।
ঘ) প্রশংসা অর্জনের ক্ষমতা : অন্যের প্রসংশা অর্জনের মাধ্যমে সৃষ্ট পরিবেশ নেতার জন্য এক ধরনের ক্ষমতায় রূপ নেয়।
ঙ) বিশেষজ্ঞজনিত ক্ষমতা : নেতার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উচ্চ ধারণার ফলে সৃষ্ট ক্ষমতাকে বোঝায়।
চ) মানবীয় বা আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা : মানবীয় গুণাবলি ও দক্ষতা এক ধরনের ক্ষমতায় রূপ নেয়।
ছ) যোগাযোগ ব্যবস্থা : তথ্য আদান-প্রদানের পদ্ধতি ও যোগাযোগের সক্ষমতা নেতার ক্ষমতা নির্ধারণ করে।
জ) অধস্তনদের মান ও মনোভাব : অধস্তনদের মান, যোগ্যতা, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি নেতৃত্বের ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
ঝ) আনুগত্য ও শৃঙ্খলা
ঞ) প্রতিষ্ঠানিক ঐতিহ্য

নেতার কাজ
ক. প্রাতিষ্ঠানিক দিক বিচারে
১. পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ
২. উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি
৩. কর্মী নির্বাচন ও মানোন্নয়ন
৪. নির্দেশ প্রদান
৫. তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধন
৬. কার্যকর নিয়ন্ত্রণ

খ. কর্মীর দিক বিচারে
১. আস্থা সৃষ্টি : অধস্তন জনশক্তি ও সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট।
২. দলগত প্রচেষ্টার উন্নয়ন : অধস্তনদের সমানভাবে কাজে লাগানো।
৩. প্রেষণা দান
৪. যোগাযোগ রক্ষা

নেতৃত্বের গুণাবলী
নেতৃত্বের দুই ধরনের গুণাবলী হতে পারে-
ক) জন্মগত গুণাবলী
খ) অর্জিত গুণাবলী

ক) জন্মগত গুণাবলী
* উচ্চ বংশ হওয়া
* মেধাবী হওয়া
* সাহসী ও দৃঢ় মনোবল
* আমানতদার হওয়া
* ধৈর্য ও সংযমী হওয়া
* শালীনতা
* দয়া ও ক্ষমাশীল হওয়া
* শক্তিমত্তা থাকা
* স্বভাবজাত আকর্ষণ ও ব্যক্তিত্ব
* মানসিক শক্তি
* দৃঢ় সংকল্প ও স্থিতিশীলতা
* নম্র ও সদ্ব্যবহার
* অল্পে তুষ্ট ও ত্যাগী হওয়া
* দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হওয়া
* দায়-দায়িত্ব গ্রহণের মানসিকতায় থাকা

খ) অর্জিত গুণাবলী
১. জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব
* ইসলামের জ্ঞান
* নিজ পেশা ও কাজের সার্বিক জ্ঞান
* ভাষা জ্ঞান
* ইতিহাস সংক্রান্ত জ্ঞান
* সমকালীন দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
* বিজ্ঞানের আবিষ্কার সম্পর্কিত জ্ঞান
* মনোবিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান

২. উন্নত আমল
* সুন্দর মুয়ামালাত-মুয়াশারাত
* হক্কানী পীরের হাতে বাইয়াত গ্রহণ

৩. সাংগঠনিক দক্ষতা
* সাংগঠনিক শৃংখলা বজায় রাখা
* আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন
* সাংগঠনিক প্রজ্ঞা
* অন্যদের পরিচালনার যোগ্যতা
* অফিস ব্যবস্থাপনা
* সৃজনশীলতা
* নেতৃত্ব সৃষ্টির যোগ্যতা
* পরামর্শভিত্তিক কাজ করা
* যোগাযোগের দক্ষতা

৪. সামাজিক হওয়া
* অপরের অধিকারকে প্রাধান্য দেয়া
* অপরের প্রতি সদয় হওয়া

৫. বাগ্মিতা
৬. সময়ানুবর্তিতা
* সময় হত্যা না করা
* অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করা
* দ্বিধা-দ্ব›দ্ব দূর করা
* সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করা
* একত্রে অনেক কাজ করা

৭. ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ
* কর্মীদের মাঝে ইনসাফ কায়েম করা
* প্রটোকল রক্ষা করা
* স্বজনপ্রীতি না করা

৮. প্রেরণা সৃষ্টির যোগ্যতা
৯. সর্বোচ্চ কুরবানী দেয়া

* সময়ের কুরবানী
* শ্রমের কুরবানী
* অর্থের কুরবানী

১০. টার্গেটভিত্তিক কাজ করা

নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য
* নেতা বিলাষপ্রিয় হবে না
* নেতা রাগ বা বিদ্বেষভাবে, স্বজনপ্রীতি বা স্বেচ্ছাচারিতা করবেন না।
* নেতা হবেন কাজ ও সম্মানের পথ প্রদর্শক।
* নেতা অবশ্যই হবেন মিতব্যয়ী, দুর্নীতিমুক্ত। তার মধ্যে তার নিজস্ব পেশার ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।
* নেতা হবেন গাম্ভীর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
* নেতা তার অধস্তন নেতাদের সাথে তিনভাবে যোগাযোগ করবেন- তার দেয়া নির্দেশের মাধ্যমে, তার পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে, তার পরিদর্শনের মাধ্যমে।
* সত্যিকার নেতা তার কৃতকর্মের দায়কে সর্বদাই কাঁধে নিতে প্রস্তুত থাকবেন।
* নেতা অবশ্যই জানবেন কখন, কিভাবে, কী করতে হবে।
* মহান নেতা হচ্ছেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
* ধৈর্য ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতা।
* সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা।
* পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা।
* দলীয় কারণে প্রচণ্ড আবেগ।
* শৃক্সখলা বিধানের যোগ্যতা।
* পরিস্থিতি বিশ্লেষণ।
* ক্ষমা করা।
* প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী বাহিনী গঠন।
* বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার।
* অন্যকে বোঝার কৌশল।

নেতৃত্বের অভ্যাসগত বৈশিষ্ট্য
১. সময় কিভাবে ব্যয় হচ্ছে
২. ফলাফলের ওপর গুরুত্ব প্রদান
৩. দুর্বলতা দূর করার দিকে নজর দিতে হবে
৪. কতিপয় প্রধান ব্যাপারে পরিশ্রম ও সাধনা কেন্দ্রীভূত করা উচিত যা ভাল ফল দেবে
৫. সর্বদা আল্লাহর উপর নির্ভরশীলতা।

নেতৃত্বের সমস্যা
১. নেতার নিজস্ব সমস্যা
ক) নেতৃত্বের অদক্ষতা
খ) অহমিকাবোধ
গ) মাত্রা জ্ঞানের অভাব
ঘ) দায় এড়ানোর প্রবণতা
ঙ) অতি আবেগ
চ) নিরপেক্ষ মনোভাব সংরক্ষণে ব্যর্থতা

২. অধস্তন জনশক্তির সমস্যা
ক) অধস্তনদের অদক্ষতা
খ) নেতৃত্বের প্রতি বিরূপ মনোভাব
গ) ফাঁকিবাজির মানসিকতা
ঘ) নেতার ওপর অতি নির্ভরশলতা
ঙ) আকষ্মিক অসহযোগিতা
চ) বিশেষ আনুকূল্য লাভের প্রচেষ্টা
ছ) অজুহাত

৩. প্রতিষ্ঠানিক সমস্যা
ক) পরিবেশগত বাধা
খ) নেতা নির্বাচনে সমস্যা
গ) সাংগঠনিক কাঠামোগত জটিলতা
ঘ) উপকরণাদির অপর্যাপ্ততা

নেতৃত্ব গঠন পদ্ধতি
১. টার্গেট করা
২. টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সান্নিধ্যে রেখে যোগ্য করে গড়ে তোলা
৩. দীক্ষা দেওয়া
৪. পূর্ণাঙ্গ দীনের অনুশীলন করানো
৫. জ্ঞান দান করা
৬. প্রশিক্ষণ দেয়া
৭. আত্মত্যাগ, শ্রম ও সাধনার মানসিকতা তৈরী করা
৮. মূর্খতা, সংকীর্ণতা, কৃপণতা, দুনিয়াপ্রীতি, কাপুরুষতা মুক্ত হওয়ার মনন গঠন করা
৯. উদারতা, দানশীলতা, পরকালমুখী চিন্তা ও বীরত্বপূর্ণ মনোভাব সহ মৌলিক মানবীয় গুণাবলীর প্রকাশ ঘটানোর মনন গঠন করা
১০. আন্তরিকতার সাথে ভুল সংশোধন করা
১১. ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান
১২. স্বপ্ন সৃষ্টি করা
১৩. ইসলামী আন্দোলনের প্রেরণ সৃষ্টি করা

নেতৃত্ব থেকে মুসলমানদের বিচ্যুতির কারণ
* মুসলমানরা কুরআন হতে দূরে সরে আসা।
* আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে অবদান না রাখা।
* বিলাসপ্রিয় হওয়া।
* অন্যের সভ্যতা গ্রহণ করা।
* জ্ঞান চর্চা না করা।
* ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকা।
* ইসলাম থেকে রাজনীতি আলাদা করা।
* ইসলামের ইতিহাস না পড়া।
* আল্লাহর ওপর ভরসা না থাকা।

সাহাবাগণ মুসলিম উম্মাহর পরবর্তী নেতৃত্ব সম্পর্কে রাসূল সা. কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “তোমরা যদি আবু বকরকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে আমানতদার, দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ এবং আখেরাতের প্রতি আকৃষ্ট। তোমরা যদি ওমরকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে শক্তিধর, আমানতদার এবং সে আল্লাহর ব্যাপারে কোনো প্রকার দুর্নামকারীর পরোয়া করে না। আর যদি আলীকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে পথপ্রদর্শক হিসেবে, সে তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। (মুসনাদে আহমাদ)
এ হাদীস থেকে প্রতিয়মান হয় নেতাকে কোন না কোন গুণাবলির কারণে নেতৃত্বের আসনে আসীন করা হয়। সুতরাং আমরাও যদি নিজেদেরকে এবং কর্মীদেরকে নেতৃত্বের গুণাবলীতে গুণান্বিত করতে পারি তাহলে এই দেশ ও জাতির নেতৃত্ব আমাদের হাতেই আসবে, ইনশাআল্লাহ।

 

-লেখক
কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

 

  • ছাত্র সমাচার : অক্টোবর-নভেম্বর’১৫ সংখ্যা