Iftar-Mahfil-16
আজ ২৫ জুন’১৬, শনিবার বিকেলে গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্টে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগে আয়োজিত “সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মাহে রমযানের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস। যে সমাজ তাকওয়ার ভিত্তিতে নির্মিত হবে সে সমাজে কোন জুলুম, অবিচার এবং অন্যায় চলতে পারে না। বিশ্বে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান থাকার ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বিভৎস আকার ধারণ করেছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ হতে হলে ইসলামের অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে বৈশ্বিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
 
বস্তুবাদ মানুষকে অত্যধিক আত্মকেন্দ্রীক করে ফেলেছে। প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লক্সঘন ও অপরাধ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে শিশুহত্যার মত নারকীয় প্রবণতা মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধর্মহীন-সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এই প্রবণতাকে স্থায়ী করার চক্রান্ত পাকাপোক্ত করা হয়েছে। তাই মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে এবং বস্তুবাদের অশুভ পরিণতি ঠেকাতে ইসলামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
 
সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গ্রেফতার বাণিজ্য এবং খুন-গুম আজ মামুলি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকের নামে লাঠিয়াল বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। পুলিশের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়, পুরোহিতকে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীকে খুজে পাওয়া যায় না। সার্বিকভাবে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ক্রমেই বেড়ে চলছে। দেশ পরিচালনায় রমযানের চেতনা প্রতিফলিত না হওয়ার কারণেই রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নি। অতএব সকল সমস্যা মোকাবেলায় মাহে রমযানের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
 
আলোচনা সভায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল আমীন বলেন, দেশের অধিকাংশ জনগণের আদর্শ বিরোধী শিক্ষানীতি ২০১০ ও শিক্ষাআইন ২০১৬ এবং বিতর্কিত সিলেবাস দেশের ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
 
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল আমীন-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উপদেষ্টা ডা. জহুরুল হক সহ প্রমুখ।
 
বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান, ইসলামী ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাদীর, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আল-আমীন, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ (জাফর)-এর আহবায়ক মামুনুল হাসিব ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস-এর সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রহিম সাঈদ, ফরায়েজি ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রুহুল আমীন, ছাত্র হিজবুল্লাহ, ছাত্র মুসলিহীনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
বাদ মাগরিব ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে পীর সাহেব চরমোনাই-এর মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।