Tonu-2

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন মনে করে গত ২০ মার্চ’১৬ রাতে ঘটে যাওয়া নৃশংস তনু হত্যাকা- স্বাধীন বাংলাদেশে একটি কলংকময় অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কুমিল্লা সেনানিবাসের চৌহদ্দির ভিতরে সোহাগী জাহান তনুর লাশ পাওয়া গেছে। নিহতের লাশের চিত্রে একথা পরিস্কার যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমানায় যে কেউ হত্যা হলে দেশের প্রশাসনের দায়িত্ব হলো হত্যাকারীকে খুঁজে বের করে শাস্তির বিধান করা। তনু হত্যা হয়েছে সেনানিবাসে। সকলেই জানে যে, সেনানিবাস একটি সংরক্ষিত এলাকা। এতটাই সংরক্ষিত যে, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার পর্যন্ত সেখানে অবাধে যেতে পারেন না। তেমনই একটা স্থানে তনু হত্যা হলো কীভাবে?

এবং সেই হত্যার তদন্ত, বিচার করার ক্ষেত্রে এতো অদ্ভুত আচরণে কেন? তনুকে হত্যা করা হয়েছে নাকি ধর্ষণ করা হয়েছে, এটা জানাতেও পুলিশের ৫-৭ দিন লেগে যাচ্ছে! এত দিনেও কাউকে শনাক্ত করা যায় না। তনুর বাবা-মা তথা পরিবারকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছেনা। এটা নিয়ে সেনা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে মিটিং করতে হচ্ছে! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পর্যন্ত কথা বলতে হচ্ছে! কী হচ্ছে এসব তা আমাদের বুঝে আসে না?

ইশা ছাত্র আন্দোলন মনে করে, সেনাবাহিনীর কেউ যদি এই নারকীয় হত্যাকা-ের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাধা কোথায়? প্রকৃত ঘটনা জানাতে কেন এতো টালবাহানা? এর মাধ্যমে যে দেশের একমাত্র কলংকমুক্ত বাহিনী সেনাবাহিনীকে কলুষিত করা হচ্ছে তা কি কেউ লক্ষ করেছে না? সেনাবাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সেটা কি কেউ আমলে নিচ্ছেনা?

খুন হয়েছে এটা সবাই জানে। এখন হাজারো চেষ্টা করেও এটাকে ধামাচাপা দেয়া যাবেনা বরং প্রকৃত অপরপাধীকে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমেই সেনাবাহিনীর সম্মান-মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব। আর যতই ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হবে বিষয়টা ততটাই খারাপ হবে।

তাই, অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করে সেনাবাহিনীকে কলংকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।