ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর ২৫ বছর পূর্তিতে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম-এর অনুভূতি

Arif

১. বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী যে রাজনীতি চলছে তা আমাদের আজানা নয়। আমার মতে চলমান এ রাজনীতি অবৈধ পেশিশক্তি, অস্ত্র আর অবৈধ টাকার ওপর নির্ভরশীল। যেখানে মানবিক আদর্শ নেই বললেই চলে। আর যে রাজনীতি মানবতাকে গলাটিপে হত্যা করে তা রাজনীতি নয়; তা দানবনীতি। এই দানবনীতির বিপরীতে মানবতার একনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ইশা ছাত্র আন্দোলন। এখানে কোন দানবতার নুন্যতম স্থান নেই। বিশ্বমানবতার কল্যানের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু আছে ইশা ছাত্র আন্দোলনের মাঝে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্বরাজনীতিতে গুনগত আদর্শিক পরিবর্তনে নতুন এক মাত্র যোগ করতে সক্ষম হয়েছে ইশা ছাত্র আন্দোলন। যাদের নেই কোন অবৈধ পেশিশক্তি, নেই কোন অবৈধ অস্ত্র বা কোন অবৈধ অর্থ। এমন একটি সংগঠনকে নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্ব রাজনীতির গবেষকরা নিয়মিতই রাত জাগতে শুরু করেছে। তারা ভেবে হয়রান যে, এ সংগঠনটি একটি আদর্শ নিয়ে এই দানবনীতির বিপরীতে কিভাবে টিকে থেকে নিয়মতান্ত্রিক দিনদিন বেগবান হচ্ছে।

২. আপনারা অবশ্যই জানেন যে, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর লক্ষ্য হলো জাহিলিয়াতের সকল প্রকার আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদার নমুনায় সাহাবায়ে কিরামের অনুসৃত পথে মানবজীবন গঠন ও সমাজের সর্বস্তরে পূর্নদীন বাস্তবায়ন আর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন। অপরদিকে বৈশ্বিক রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতা। বর্তমানে ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা একটি বৈপ্লবিক আদর্শের মাধ্যমে নিজেকে গঠন করছে এবং সমাজের মাঝে তার সেই আদর্শকে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে এক থেকে শত, শত থেকে লক্ষ-কোটি মানুষ ইসলামের সুমহান আদর্শে একজন বিপ্লবী মানুষে পরিনত হচ্ছে। এই বিপ্লবী মানুষটি যেখানে গিয়েছে সেখানেই বিপ্লব ঘটিয়েছে। পরিবারে গিয়েছে সেখানে ইসলামী বিপ্লব ঘটিয়াছে। সমাজে সে বাস করে সেখানে ইসলামী বিপ্লবের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। কর্মস্থলে সে ইসলামী বিপ্লবের চেষ্টা চালিয়ে সফল হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে, ইসলামী বিপ্লবের জন্য যে মৌলিক উপদান প্রয়োজন- “যোগ্য নেতৃত্ব ও যোগ্য কর্মবাহিনী” তৈরী করতে এই ২৫ বছরে অনেকটাই সফলইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর ছাত্র আন্দোলনে অর্জন।

Arif

৩. আমার মতে ছাত্র আন্দোলন রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের প্রথম ও প্রধান রোলমডেল। গুণগত পরিবর্তনের বড় দুটি দিক হচ্ছে- নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাই এখানে ছাত্র রাজনীতি করে এবং পড়া-শোনার মাধ্যমেই ছাত্র রাজনীতি করে। আমাদের দেশে ছোট-বড় অনেক ছাত্র সংগঠন আছে যাদের অছাত্র নির্ভশীল সংগঠন এবং পড়া লিখার কোন প্রশ্নই নাই। ছাত্র আন্দোলনে এই স্লোগানটিকে সবসময় মনে রাখা প্রয়োজন মেধাবিদরে প্রিয় সংগঠন ইশাছাত্র আন্দোলন অপর দিকে গতানুগতিক ছাত্র রাজনীতির নামে যাহা আমাদের দেশে চলছে তাহা অত্যান্ত ভয়ংকর রাজনীতি, যেমন সন্ত্রাসী, খুন, ধর্ষন, মাদক, টেন্ডারী চাদাবাজী অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গন কে ও ছাত্র রাজনীতিকে করেছে কুলশিত, ঘৃনিত এ ভয়ংকর রাজনীতির বাহিরে আলাদা একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারাটা ছাত্র রাজনীতির আরও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে ছাত্র আন্দোলন। উপর উল্লেখিত বিষয় গুলি সাথে ছাত্র আন্দোলনের নুন্যতম কো ন সম্পর্ক নেই। আর এটা সম্ভব হয়েছে, ওলামা মাশায়েক আওলিয়াদের মাধ্যমে পরিচালিকত হওয়ার কারনে।

৪. বিপ্লবের পটভূমি রচনার জন্য যে ফর্মুলাটি সর্বপ্রথম প্রয়োজন রাষ্ট্রের সকল পর্যায় থেকে বিপ্লবের প্রয়োজনিয়তা বুঝা এবং সে অনুযায়ী বিপ্লবের জন্য আওয়াজতোলা। এক শ্রেণির বা পেশার মানুষের দ্বারা বিপ্লবের করা সম্ভব নয় সকল শ্রেনীর মানুষের সম্পৃক্ততা থাকা প্রয়োজন। শিক্ষক-ছাত্র সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবি ব্যবসায়িক চিকিৎসা, আইনজীবি থেকে শুরু করে সকলের। ছাত্র আন্দোলন দেশের চলমান জেনারেল (স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়) মাদরাসয়ে আলীয়া কওমিয়া শিক্ষার্থীদের ইশাছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করে যোগ্য কর্মী বাহিনী প্রস্তুত করে এসকল জায়গাগুলিতে প্রেরণ করে ইসলামী বিপ্লবের পটভূমি রচনার কাজকে খুব দ্রুততার সাথে এগ্রিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একটিদ ইসলামী বিপ্লব হবেই ইনশাআল্লাহ।