কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে

-ইশা ছাত্র আন্দোলন

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯ এর ১ নং ধারায় বলা আছে যে, রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিৎ করবে। সংবিধানে সমান সুযোগের কথা উল্লেখ থাকলেও মাধ্যমে কোটাধারীরা অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে এবং এতে করে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। কোটা পদ্ধতিতে ৫৬ ভাগের মধ্যে ৩০ ভাগ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ ভাগ নারী কোটা, ১০ ভাগ জেলা কোটা, ৫ ভাগ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাকি ১ ভাগ প্রতিবন্ধীদের জন্যে। এই হিসেবে মেধাবীদের জন্যে রয়েছে মাত্র ৪৪ ভাগ সুযোগ। যা একটা রাষ্ট্রীয় যন্ত্রকে মেধা শূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র।
আজ ০৯ মে’১৮ খ্রি. ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, কোটা সংস্কারে দাবীতে চলমান আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বহুদিনের জমানো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। মাত্র ৪৪ ভাগ মেধাবীদের জন্য বরাদ্দ রেখে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নানাভাবে তাদের দাবী সম্পর্কে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করে নাই। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, এই আন্দোলেনর কিছু কাজকে “জঙ্গীবাদি” আচরণ বলা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে আমরা জোড় দাবী জানাচ্ছি যে,
০১. অবিলম্বে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে।
০২. আহত সকল শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
০৩. যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দাবী আদায়ে মাঠে থাকবে ইনশাআল্লাহ।