Zella-Protinidhi-Sabha

ভাষার মাসে ভিনদেশী দিবসের আমদানী করা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে চরম গাদ্দারী
-মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি’১৬ শুক্রবার সকাল ৯টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সঞ্চালনায় “জেলা প্রতিনিধি সভা-২০১৬” ঢাকার বিজয়নগরস্থ প্রো-একটিভ হলে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৫২ এর পরবর্তী ইতিহাস সবার জানা। নিজস্ব জাতি সত্ত্বায় উদ্ভুদ্ধ এই জাতি ৭১ এর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম মুসলিম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে। একই সাথে বাংলা ভাষার মূল ধারাকে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে। আজ সারা বিশ্বে বাংলার আবাস বাংলাদেশে বলেই স্বীকৃত।
৫২ সালে এই বাঙ্গালী মুসলিম জাতির এই অভ্যুদ্বয় যেমন পশ্চিম পাকিস্তানীরা মানতে পারে নাই তেমনি পশ্চিম বাংলার লোকেরাও মানতে পারে নাই। দুই পশ্চিমের সকল চক্রান্ত ছিন্ন ভিন্ন করে আমরা স্বাধীন হয়েছি, বাংলা ভাষার কর্তৃত্ব ধরে রেখেছি। কিন্তু ইদানিংকালে লক্ষ্য করছি, নানা ছলে ভাষার মাসে ফেব্রুয়ারিকে ভিনদেশ থেকে আমদানী করে নানা অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে ২১ এর আবেদনকে আড়াল করা হচ্ছে।
গিফট ডে, রোজ ডে, প্রপোজ ডে, ভালবাসা দিবস ইত্যাদি অশ্লীল সব বিদেশি সংস্কৃতিকে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে করে তারুণ্যের মন-মানষ থেকে ২১ এর আবেদন মুছে ফেলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষার ওপরে মুসলমানদের অধিকার-কর্তৃত্ব আর স্বত্বকে ভুলিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা হচ্ছে। পশ্চিমের যে বাংলা ভাষিরা তাদের তথাকথিত মালিকানা বোধে পরের ধনে পোদ্দারী করে আসছিলো, ৫২ এর পরে তারা আর কোন কর্তৃত্ব করতে পারছিলো না। এখন যদি ৫২ কে বাঙ্গালীর মন মানষ থেকে ভুলিয়ে দেয়া যায় তাহলে চক্রান্ত করে আবারো বাংলা ভাষার মালিকানা পশ্চিম বাংলায় নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই আমরা মনে করি ভাষার মাসে ভিনদেশি দিবসের আমদানী করা ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে চরম গাদ্দারী।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দু:খের সাথে বলতে হয়, আজ ঢাকার মেয়র চক্রান্তকারীদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ক্লিন কনসার্টের নামে নর্তকীর নাচের আয়োজন করেছে। স্পষ্টভাবে বলছি, ভাষা ও সংস্কৃতির নিয়ে কোন চক্রান্ত ছাত্র-জনতা সহ্য করবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহা. আজিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হাছিবুল ইসলাম প্রমুখ।